[english_date] | [bangla_day]

টানেল চালু হলে চসিক ও বন্দরের গুরুত্ব দ্বিগুণের বেশি বাড়বে: মেয়র রেজাউল

নিজস্ব প্রতিবেদক: কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ সম্পন্ন হলে দক্ষিণ তীরে নগর ও শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠবে। ওয়ান সিটি টু টাউন হবে।

এর ফলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাবে। তাই দু’টি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় ও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের পরিধি বাড়াতে হবে।

রোববার ২০ জুন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহানের সঙ্গে বন্দর ভবনে সাক্ষাৎকালে চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম.রেজাউল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বৃহত্তর স্বার্থে চট্টগ্রামের উন্নয়নে সহায়ক ও কার্যকর ভূমিকা রাখবে আশাবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকা প্রয়োজন। চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের পাশাপাশি নগরের উন্নয়নের সামঞ্জস্যতার বিষয়টি অত্যন্ত প্রণিধানযোগ্য। চট্টগ্রাম নগরের উন্নয়ন না হলে বন্দরের গুরুত্বও থাকে না। বিষয়টি ভাবতে হবে এবং চট্টগ্রাম বন্দরকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে ব্যাকআপ দিতে হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর পৃথিবীর প্রাচীনতম প্রাকৃতিক বন্দর। সুদূর অতীত থেকে বণিক ও ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক সূত্রে আগমন ঘটেছে এ বন্দরে। তাই সামগ্রিকভাবে চট্টগ্রাম বন্দর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার হিসেবে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংযোগের সূত্রধর। চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয় অর্থনীতিতে সমৃদ্ধির ভিত্তি সোপান। চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জনের সহায়ক শক্তি।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একটি সেবামূলক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান। নিজস্ব আয়বর্ধক প্রকল্প ও নগরবাসীর প্রদত্ত কর এ প্রতিষ্ঠানের একমাত্র আয়ের উৎস। এ নগরের সামগ্রিক উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা ও সেবার পরিধি সম্প্রসারণে যে আর্থিক সক্ষমতা প্রয়োজন সে ক্ষেত্রে যথেষ্ট অপ্রতুলতা রয়েছে। চসিকের আয়ের বড় সূত্র ছিল বন্দরের অকট্রয় থেকে প্রাপ্ত আর্থিক জোগান। কিন্তু অনেক দিন থেকেই অকট্রয় আদায়ের উৎসটি বন্ধ রয়েছে। ফলে চসিকের আর্থিক সক্ষমতায় বড় ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, চট্টগ্রামের সামগ্রিক উন্নয়ন একা চসিকের পক্ষে সম্ভব নয়। এ নগরের সঙ্গে জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের যোগসূত্রতা রয়েছে। তাই আমাদের একে অপরের সঙ্গে সম্বন্বয় করে নগরকে আলোকিত করতে হবে এবং সমগ্র দেশকে পজিটিভ ব্যাকআপ দিতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, এস্টেট অফিসার মো. জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর এম নিয়ামুল হাসান, ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম, সচিব মো. ওমর ফারুক, প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুল হোসেন খান, উপ-ব্যবস্থাপক (ভূমি) জিল্লুর রহমান প্রমুখ।

মেয়রকে বন্দর ভবনের সামনে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বন্দর সিবিএ নেতারা।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়