কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলায় মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার নতুন ঘর ও জমি পাচ্ছে আরও ১৪২৩টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে রোববার আশ্রয়ণ ২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় ধাপে ভূমিহীন, গৃহহীন এসব পরিবারকে বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
১৮ জুন শুক্রবার বিকালে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। ২০ জুন ১০১৮ পরিবারকে নতুন ঘর ও জমি হস্তান্তর করা হবে।
এছাড়া আগামী ৩০ জুনের মধ্যে আরও ১০২ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর প্রদান করা হবে। এ নিয়ে প্রথম ধাপের ৩০৩টিসহ কক্সবাজার জেলায় মোট ১৪২৩টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল বাংলার গরীব-দুঃখীদের মুখে হাসি ফোটাবার। তাই “মুজিববর্ষে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” প্রধানমন্ত্রী এই মহতী স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরের লক্ষ্যে খাস জমি বন্দোস্ত করে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বিগত ২৩ জানুয়ারি ১ম পর্যায়ে ৩০৩টি গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে। ২য় পর্যায়ে মোট ১০১৮টি পরিবার পাবে নতুন ঘর।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, বিভিন্ন দেশে ভূমিহীন, গৃহহীনদের ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য সুদবিহীন ঋণ দেওয়ার নজির আছে, কিন্তু ভূমিহীন-গৃহহীনদের ডেকে বাড়ি-ঘর দেওয়ার নজির আর নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শ্রাবস্তী রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ, কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার সুইটি, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান ও কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, অনিয়মের অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং অনিয়মের বিষয়ে জেলা প্রশাসনের অবস্থান জিরো টলারেন্স বলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক।