[english_date] | [bangla_day]

সেবামূলক সকল সংস্থার মাঝে সমন্বয় সাধন অতীব জরুরী: মেয়র রেজাউল

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরীতে বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং সেবামূলক কার্যক্রম সম্প্রসারিত হচ্ছে। এ জন্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও বিশেষ করে সেবা সংশিষ্ট সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর মধ্যে কাজের অগ্রগতির স্বার্থে সমন্বয় সাধন অতীব প্রয়োজন।

তিনি বুধবার ২১ এপ্রিল সকালে টাইগারপাসস্থ চসিকের অস্থায়ী ভবনে তাঁর অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান সামিনা বানুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নগরীতে প্রধান সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি না থাকলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি থাকায় এবং তা যুগোপযোগী না হওয়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট জনিত কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে, এর প্রভাব পড়ছে জনজীবনে এবং শিল্প-কলকারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটজনিত দুর্ভোগ ও ক্ষতি বহুমাত্রিক।

মেয়র আরো বলেন, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও সরবরাহ লাইন আন্ডারগ্রাউন্ড করার উপর গুরুত্ব দিয়েছে তবে এটা দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন বড় অংকের বরাদ্ধ ও সময়। কেননা সরবরাহ লাইনের নিত্য কাজগুলো চলবে। এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হবে না। তিনি আরো বলেন, উপর দিয়ে বিদ্যুৎ লাইনের সাথে একই খুঁটিতে ক্যাবল ও ইন্টারনেট লাইনের থোকা থোকা জট নগরীর শ্রী বিনষ্ট করেছে, এমনকি তা জননিরাপত্তার জন্যও হুমকী স্বরূপ। তাই আন্ডারগ্রাউন্ড সিষ্টেম যখনই করা সম্ভব হোক না কেন, রাস্তার উপর দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাপনা ত্রুটিমুক্ত এবং ক্যাবল ও ইন্টারনেট লাইন একই খুঁটিতে না করে পৃথকায়ন করা প্রয়োজন। মেয়র রাস্তা সম্প্রসারনের পর যে বিদ্যুৎ খুঁটিগুলো অপসারণ হয়নি সেগুলো সরিয়ে ফেলার অনুরোধ জানান।

প্রতিনিধিদলের নেত্রী প্রকৌশলী দেওয়ান সামিনা বানু মেয়রকে অবহিত করেন যে, চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিতরণ ও সরবরাহ লাইনের কিছু ত্রুটির কারণে কোন কোন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ মাঝে মাঝে বিঘ্নিত হয়। আন্ডারগ্রাউন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্যা থেকেই যাবে। তবে অচিরেই আন্ডারগ্রাউন্ড সিস্টেমের কাজ শুরুর ব্যাপারে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সাক্ষাৎকালে চসিক ও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দ্বি-পাক্ষিক দেনা-পাওনার অংশ পরিশোধ করা হয়। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ চসিককে ২কোটি ১১লাখ ৩০হাজার টাকা এবং চসিক বিদ্যুৎ বিল বাবদ বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে ২কোটি ১২লাখ ৩০হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক (যুগ্ম সচিব),ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কুমার দাশ, পিডিবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ইমাম হোসেন, শহিদুল আলম মৃধা, মো. সালেহ আহমেদ, মাহাবুবুল আলম, মো. শাহজাহান প্রমুখ।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়