পটিয়া হানাদার মুক্ত দিবস –
মুহাম্মদ রুশনী মোবারক,
পটিয়া সংবাদদাতা –
১৩ ডিসেম্বর পটিয়া ও চন্দনাইশের দোহাজারী হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল পটিয়া থানার মোড়ে পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর হামলার মাধ্যমে শুরু হওয়া যুদ্ধ দক্ষিণ চট্টগ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিভিন্ন এলাকা দখলে নেয় হানাদাররা। শুরু করে বাঙ্গালি নিধনযজ্ঞ। পাকিস্তানি বাহিনীর ওই গণহত্যায় পটিয়া সদর, বাহুলি মিত্রপাড়া, মোজাফফরাবাদ, কেলিশহর, হাইদগাঁও, ঈশ্বরখাইন ও ধলঘাটে নিহত হয় হাজারো সাধারণ মানুষ। ২০ মে পাকসেনারা ইন্দ্রপোল এলাকায় মুক্তিবাহিনীর বাধা পেয়ে দোহাজারী ফিরে যাওয়ার সময় পাকসেনারা ইন্দ্রপোল থেকে মুন্সেফবাজার পর্যন্ত এলোপাতারি গুলি চালায়। এতে খাসমহাল এলাকায় জমিতে কর্মরত কয়েকজন দিনমজুর, কৃষক মারা যায়।
৯ ডিসেম্বর পাক ও রাজাকার বাহিনীর একদল সৈন্য চট্টগ্রামের দিকে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গৈড়লার টেক এলাকায় সকাল ১১টায় গেরিলাবাহিনী’র আক্রমনে ৪/৫ জন রাজাকার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় এবং আরো বেশকয়েকজন রাজাকারসহ ধৃতসহ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার করে। পরে ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা পটিয়া থানা প্রাঙ্গনে এসে স্বাধীনতার প্রথম পতকা উত্তোলন করে পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রাম হানাদার মুক্তি করে। ৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর যুদ্ধকালীন কমান্ডার মহসিন খাঁন ও প্রফেসর আবু ছৈয়দের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে পটিয়া থানায় প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করে পটিয়াকে হানাদার মুক্ত করেন এবং স্বাধীনতার উৎসবে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বিজয় উল্লাস করেন। পরে অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা এসে সেখানে সমবেত হয়। সেই দিনটি স্বরণীয় করতে পটিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধার পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।