চিটাগাং মেইল : মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বীর বাঙালীর অহংকার ” এই শ্লোগান হৃদয়ে ও চেতনায় ধারন করে ১৯৮৯ সালের পর বিগত ৩১ বছর যাবৎ মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আয়োজন হয়ে আসছে । যা আজ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ছড়িয়ে পড়েছে । বৈশ্বিক করোনা মহামারি প্রাদুর্ভাবের ফলশ্রুতিতে দীর্ঘদিনের ধারাবাহিক মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা এবার সংক্ষিপ্ত পরিসরে । তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১০-১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি পালন করবে ।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়শিখা প্রজ্বলন ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করা হবে।
বুধবার ৯ ডিসেম্বর বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা পরিষদের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুস লিখিত বক্তব্যে এই সব তথ্য জানান।
তিনি জানান,স্বাধীনতা বিরোধী ৭১ এর ঘাতক দালাল যুদ্ধাপরাধিরা তাদের দেশি – বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা যোগসাজশে সুকৌশলে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে টার্গেট করেছে । করোনা পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও মূর্তিকে ইস্যু করে যারা ফায়দা হাসিল করতে চায় তারা পবিত্র ইসলাম ধর্মের অনুসারী প্রকৃত আলেম নয় । তারা উগ্র ও পাশবিক মন মানসিকতার কাটমোল্লা । যারা ধর্মের কোমল অনুভূতি , দুর্বল ও স্পর্শকাতর বিষয়গুলোকে ব্যবহার করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে চায় । আমরা এ সব মোল্লাদের বিরুদ্ধে । আমরা সকল সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী । এর বর্তয় হলে আমরা রুখে দাঁড়াব । যেভাবে ৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে যুদ্ধের ময়দানে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম ।
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংর্ধনা। ১৫ ডিসেম্বর বিজয়মেলার প্রয়াত চেয়ারম্যান, সাবেক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা হবে।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন আরো উপস্থিত ছিলেন বিজয়মেলার কো-চেয়ারম্যান নঈদ উদ্দিন চৌধুরী, হাসিনা মহিউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন রাশেদ, জাহাঙ্গীর আলম, পাল্টু লাল সাহা, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মাহমুদুল হক, ফরিদ মাহমুদ, প্রদীপ খাস্তগীর, শেখ নাছির আহমেদ, শ্রমিক স্কোয়ার্ড সদস্যসচিব আবুল হোসেন আবু, দেলোয়ার হোসেন দেলু, হাবিবুর রহমান তারেক, নগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর প্রমুখ।