[english_date] | [bangla_day]

আওয়ামী লীগ স্বাধীন বিচার বিভাগে বিশ্বাসী: ঢাকায় নতুন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন উদ্বোধন কালে প্রধানমন্ত্রী

মোহাম্মদ হাসানঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচারপতিগণকে এত মামলা যেভাবে জমে আছে তা যেন না থাকে। কিভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন করা যায় সে ব্যাপারে একটু আন্তরিক হয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন।

আজ ৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে নবনির্মিত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, ঢাকা-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অনুরোধ জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র-শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি জাতির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন ছিল জাতির পিতার জীবনের মূল দর্শন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো ছিল তাঁর জীবনের ব্রত। তিনি কখনো মাথা নত করেননি। মাত্র ৯মাসে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়েছেন। একটি সংবিধান দিয়েছেন। ৪ নভেম্বর ১৯৭২ সালে প্রণীত হয় বাংলাদেশের সংবিধান। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সংবিধান কার্যকর হয়। ওই দিন গণপরিষদে ভাষণে জাতির পিতা বলেছিলেন, ” আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে।”

তিনি বলেন, “জুন ২০২০ পর্যন্ত দেশে বিভিন্ন আদালতে ৩৭ লাখ ৯৪ হাজার ৯০৮টি মামলা বিচারাধীন। এসব মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে দ্রুততম সময়ে রায় দেওয়ার উপায় বের করার জন্য আমি সব বিচারক ও আইনজীবীদের অনুরোধ জানাচ্ছি। এত মামলা যেন এভাবে জমে না থাকে। কিভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন করা যায় সে ব্যাপারে একটু আন্তরিক হবেন এবং ব্যবস্থা নেবেন। এর জন্য যদি কোনো রকম সহযোগিতা প্রয়োজন হয় সেটা আমরা সরকারের পক্ষ থেকে করবো। এতগুলো মামলা এভাবে পড়ে থাকুক সেটা আমরা চাই না।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ আইনের শাসন ও স্বাধীন বিচার বিভাগে বিশ্বাসী।স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে সংবিধানের মূলভিত্তি, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিকসহ সব মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং সঠিক বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।”

বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বঙ্গবন্ধু উল্লেখ করে গেছেন মন্তব্য করেন তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু প্রথম নারীদের বিচার বিভাগে আসার সুযোগ করে দিয়েগেছেন। এপ্রসঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, পাকিস্তান আমলে একটা আইনছিলো যেখানে বিচার বিভাগে কোন নারীর সুযোগ ছিলোনা। বঙ্গবন্ধু তা না করে বিচার বিভাগে নারীদের সুযোগতৈরীতে আইন করে গেছেন।”

তিনি এসময় বলেন, “আমি ও আমার ছোট বোন রেহানা। আমাদের বিচার চাওয়া অধিকার ছিল না। রেহানার পাসপোর্ট দেয়নি। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ। সেটা রিনিউ করে দেয়নি। আমাদেরও কিন্তু বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেছে। বিচার চাইতে পারিনি।”

বক্তব্যে শেখ হাসিনা বিচার বিভাগের বিষয়ে তার সরকার আন্তরিক উল্লেখ করে বিচারক নিয়োগ, দক্ষতা বৃদ্ধিসহ নানান পদক্ষেপও তুলে ধরেন। এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সভাপতিত্ব করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়