[english_date] | [bangla_day]

স্বাধীনতা পুরস্কার-২০ পেলেন ৮ ব্যাক্তি ও ১প্রতিষ্ঠান

মোহাম্মদ হাসানঃ জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের জন্য ৮ ব্যাক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরুস্কার ২০২০ প্রদান করা হলো। পুরুস্কার প্রাপ্তজনরা হলেন,এ বছর পুরস্কার পেয়েছেন- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের জন্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দাস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, প্রয়াত কমান্ডার (অব.) আবদুর রউফ, প্রয়াত মুহম্মদ আনোয়ার পাশা ও আজিজুর রহমান। চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. এ কে এম এ মুক্তাদির। সংস্কৃতিতে কালীপদ দাস ও ফেরদৌসী মজুমদার। এছাড়া, শিক্ষায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমস্।

আজ ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ পুরুস্কার প্রদান করা হয় এসময় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন।

পুরুস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুণীজনের সম্মান করা আমাদের কর্তব্য। সম্মান জানাতেই আমরা এধরনের পুরস্কার প্রদান করে থাকি।

তিনি পুরস্কারপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে গেছেন। আমরা যেন স্বাধীন জাতি হিসেব মর্যাদা নিয়ে চলতে পারি সেই প্রচেষ্টা রাখবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ২৫ মার্চে এই পুরস্কার আমরা দিয়ে থাকি। এবছর ওই সময়েই এমনভাবে করোনা ছড়ালো যে আমরা আর আয়োজন করতে পারলাম না। করোনায় আমরা অনেক গুণীজন হারালাম।

সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের ধাক্কা আমাদের দেশেও আসে। সেজন্য এখনই প্রস্তুতি নিন। জেলায় জেলায় হাসপাতালে প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। অনেক চিকিৎসক নার্স নিয়োগ দিচ্ছি। আপনারাও সচেতন থাকুন।

দেশকে ডিজিটাল করার কথা তুলে তিনি বলেন, দেশ ডিজিটাল হয়েছে বলেই আমি সেখানে না থেকেও ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকতে পারছি। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে আমরা দারিদ্রমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত করবো। মানুষ যেন কোনোদিকে কষ্ট না পায়। করোনাভাইরাস দেশের অর্থনীতি স্থবির করে দিয়েছে, মানুষ যেন ভালোভাবে চলতে পারে, দেশের গতি যেন কম না হয় সেদিকে আমরা নজর দিচ্ছি। খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তার কথা ভাবছি।

এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন: স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দাস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, প্রয়াত কমান্ডার (অব.) আবদুর রউফ, প্রয়াত মুহম্মদ আনোয়ার পাশা ও আজিজুর রহমান। চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. একেএমএ মুক্তাদির। সংস্কৃতিতে কালীপদ দাস ও ফেরদৌসী মজুমদার এবং শিক্ষায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমস্।

স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ১৩ জন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়