ডেস্ক রিপোর্ট: মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে মংলা, পায়রা, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানায়, সারা রাত তাণ্ডব চালিয়ে ঘূর্ণিঝড় আম্পান এখন একেবারেই দুর্বল।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ মে) ভোরের দিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আরও উত্তর–পূর্ব দিকে সরে গেছে। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝড়িয়ে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে দেশের ছয় জেলায় এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আম্পান বাংলাদেশ অতিক্রম করলেও এর প্রভাবে আজও ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে, আপমানের কারণে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় পুরো সাতক্ষীরা জেলা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে। আশাশুনি, শ্যামনগর এবং কালীগঞ্জে বেড়িবাঁধের ২৩টি পয়েন্টে ভেঙে যাওয়ায় বিপুল পরিমাণ ঘরবাড়ি, পোল্ট্রিফার্ম, মাছের ঘের ভেসে গেছে। গাবুরা ইউনিয়ন, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। উপড়ে গেছে বিপুল পরিমাণ গাছপালা।
মোবাইল টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া অনেক স্থানে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে। খুলনায় উপকুলীয় এলাকা ঘূর্ণিঝড়ে কয়রা বেড়িবাঁধের ৫টি স্থানে ভেঙে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দাকোপ ও কয়রায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া, বিভিন্নস্থানে গাছ পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বরগুনা সদর ও পাথরঘাটায় বেড়িবাঁধ ভেঙে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কুমিরমারায় ভেসে গেছে ঘর ও মাছের ঘের।