[english_date] | [bangla_day]

ক্যারিয়ারে উন্নতি করার উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ক্যারিয়ারে উন্নতি করার আকাঙ্ক্ষা সবার ভেতরেই আছে। আসলে সফলতার কোনো শেষ নেই। উচ্চতার অনন্য শিখরে কে না উঠতে চায়! তবে সবাই সমানভাগে এগিয়ে যেতে পারে না বলেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে কেবল অল্প কয়েকজন। আপনি কি কখনো খেয়াল করেছেন, যারা ক্যারিয়ারে উন্নতি করে, তারা আসলে কী করে? তারা আলাদা তেমন কিছুই করে না, বরং তাদের যে কাজ সেগুলোই করে। এতেই তাদের চলার পথ সহজ হয়ে যায়। তারা লক্ষ্যকে জয় করতে পারে। আপনিও তেমন একজন হতে চাইলে এই কাজগুলো করতে হবে মন দিয়ে-

১. সাহসীভাবে প্রকাশ করুন

মৌখিক এবং লিখিতভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে শিখুন। সরল ভাষা এবং ন্যূনতম শব্দ ব্যবহার করে সরাসরি এবং পরিষ্কারভাবে আপনার ভাবনা জানান। ইতিবাচক ভাষা ব্যবহার করুন। ‌‘না’ গ্রহণ করতে শিখুন এবং বড়াই করে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করবেন না। মানুষ আপনার কথায় কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় তা পর্যবেক্ষণ করুন এবং সেই অনুযায়ী ব্যবহার করুন।

২. আন্তরিকভাবে শুনুন

কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ হলে শুনতে শেখাও গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমবার সঠিকভাবে সংযোগ তৈরি করতে পারলে তা পরে আপনাকে ঝামেলা থেকে বাঁচাবে। প্রতিটি কথোপকথনে শতভাগ মনোযোগ রাখুন। আন্তরিকভাবে নম্রতা এবং সহানুভূতির সঙ্গে শুনুন। অস্থির হবেন না, আপনার সমস্যা নিয়ে চিন্তা করবেন না বা বিচারে বসবেন না। ধীরে ধীরে আপনি মানুষের সঙ্গে কথা বলার সঠিক পদ্ধতিগুলো শিখতে পারবেন এবং ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে পারবেন।

৩. দ্বন্দ্ব সমাধান করুন

দ্বন্দ্ব সমাধান হলো সবচেয়ে বড় দক্ষতা যা ম্যানেজার এবং নেতাদের প্রয়োজন। বিশ্বস্ত হোন। এতে মতবিরোধের সময় অন্যরা আপনার কথা শুনবে। সমস্যা সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে সমানভাবে উপস্থাপন করুন। ঐকমত্য খুঁজুন এবং কর্মীদের দায়িত্ব নিতে শেখান। সমস্যা বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপর নয়, সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করুন।

৪. আগ্রহ দেখান

কর্মক্ষেত্র কারও একার জায়গা নয়, এখানে পুরো একটি দল কাজ করে। সফলতা আসে শুধুমাত্র টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে। মানুষের সঙ্গে আপনি যত ঘনিষ্ঠ বন্ধন তৈরি করবেন, আপনার কাজ তত সহজ হবে। সহকর্মী ও বন্ধুদের সঙ্গে ভালো সময় কাটান। আনন্দ নিয়ে কাজ করুন। সহকর্মীদের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার তাদেরকে আপনার কাছাকাছি নিয়ে আসবে।

৫. ধন্যবাদ বলুন

যদি এটি কঠিন বা অস্বস্তিকরও মনে হয় তবু ধন্যবাদ জানাতে এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে শিখুন। আপনার কথায় আন্তরিক এবং সুনির্দিষ্ট হোন। আপনার অধস্তনের কাজের স্বীকৃতি দিন, তার প্রশংসা করুন। তিরস্কারের বদলে প্রশংসা বেশি কার্যকরী। আপনার স্বীকৃতি তাদের উৎসাহিত করবে। এতে আপনাদের কাজগুলো আরও সহজ হয়ে যাবে।

৬. শারীরিক ভাষা

শুধু মুখের কথাই নয়, যোগাযোগের ক্ষেত্রে শারীরিক ভাষাও গুরুত্বপূর্ণ। ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে চাইলে এদিকে মনোযোগ দিতে হবে। আপনার চোখের দৃষ্টি আরও স্পষ্ট করুন। হাঁটা-চলা, কথা বলা, এমনকী বসার ভঙ্গিও অনেককিছু প্রকাশ করে। কারও সঙ্গে কথা বলার সময় মুখে স্মিত হাসি রাখুন। শারীরিক ভাষা স্পষ্ট হলে তা কার্যকরী প্রভাব ফেলবে।

৭. প্রশ্ন করুন

কীভাবে মানুষকে প্রশ্ন করতে হয় এবং সঠিক উপায়ে উত্তর দিতে হয় তা শিখুন। এমন নয় যে আপনি একাই সবকিছু জানেন। এটি কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। আমরা প্রতিদিনই নতুন কিছু না কিছু শিখছি। তাই শেখার মধ্যে লজ্জার কিছু নেই। এটি বরং আপনাকে উন্নতির পথে নিয়ে যাবে। তাই কোনোকিছু বুঝতে না পারলে সহকর্মী বা এই বিষয়ে যিনি ভালো জানেন, তাকে জিজ্ঞাসা করেন। এতে শেখা সহজ হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়