[english_date] | [bangla_day]

শিশুর বুদ্ধি বাড়াতে যা খেতে দেবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক: শিশুদের মস্তিষ্ক ৬ থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়তে থাকে। অপুষ্টিতে ভুগছে এমন শিশুরা পর্যাপ্ত ক্যালোরি এবং প্রোটিন থেকে বঞ্চিত হয়। এই পুরো সময়কালে ভালো পুষ্টির অধিকারী শিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। তারা চিন্তাভাবনা, মনে রাখা এবং ফোকাস করার ক্ষেত্রে আরও ভালো হয়। তাদের মস্তিষ্ক নতুন জিনিস শোষণ এবং শেখার ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে। এই প্রয়োজনীয় পুষ্টি কি? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড উন্নত স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা সহ আরও অনেক উপকারিতার সঙ্গে যুক্ত। ফ্যাটি মাছ (যেমন স্যামন, ম্যাকেরেল এবং টুনা), ফ্ল্যাক্সসিড, সূর্যমুখী বীজ, কুমড়ার বীজ এবং আখরোট শিশুর ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। নিয়মিত এ ধরনের খাবার খেলে আপনার শিশু বুদ্ধিমান হিসেবে গড়ে উঠবে।

২. আয়রন

আয়রন শিশুর বুদ্ধির বিকাশের জন্য অত্যাবশ্যক, কারণ এটি শিশুদের সক্রিয় এবং মনোযোগী হতে সাহায্য করে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন চর্বিহীন মাংস, সিরিয়াল, সবুজ শাক-সবজি এবং কিডনি বিনস (রাজমা), ব্ল্যাক আইড মটর (লোবিয়া), সবুজ মটর এবং ছোলার মতো মটরশুটি তাদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।

৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় রঙিন ফল এবং সবজিতে। যেমন বিটরুট, গাজর, টমেটো, বরই, বেরি এবং পালং শাক। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সামগ্রিক মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করতে কাজ করে। তাই শিশুকে প্রতিদিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিতে হবে। এতে শিশুর বৃদ্ধি ও মেধা বিকাশ সহজ হবে।

৪. স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা

আপনার শিশুকে প্রতিদিন সকালে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে উৎসাহিত করুন। সুষম ভারসাম্যপূর্ণ সকালের খাবার দিন শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি এবং পুষ্টি সরবরাহ করে, স্কুলে মনোযোগ এবং একাগ্রতা বাড়ায়। তাই শিশুকে সকালে খালি পেটে রাখবেন না বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে দেবেন না। সকালের নাস্তায় রুটি, সবজি, ডিম, দুধ ইত্যাদি রাখতে পারেন।

৫. হাইড্রেশন

শিশুর মেধা ও বুদ্ধির বিকাশের জন্য তাকে হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। আপনার শিশু যেন সারাদিন অল্প অল্প করে পানি পান করে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। খাবারের মাঝখানে খুব বেশি পানি পান করতে দেবেন না। পর্যাপ্ত পানি পানের পাশাপাশি তাকে পানি রয়েছে এমন সব ফল, সবজি ইত্যাদি খেতে দিন। এতেও সে সহজে হাইড্রেটেড থাকবে। হালকা ডিহাইড্রেশনও বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মক্ষমতা নষ্ট করতে পারে। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়