[english_date] | [bangla_day]

ব্যাক পেইন কেন হয়? সমাধানের ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ব্যাক পেইন বিভিন্ন কারণে হতে পারে। ব্যাক পেইন কেন হয় এই প্রশ্ন অনেকেরই। এটি সায়াটিকা, আর্থ্রাইটিস বা ক্যান্সারের মতো গুরুতর দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার জন্য ঘটতে পারে। আবার হতে পারে সাধারণ কোনো কারণে বা মচকে যাওয়ার ফলে। ব্যাক পেইনের জন্য বেশিরভাগ সময়েই বয়সকে দায়ী করা হয়। পিঠের নিচের দিকের জয়েন্ট এবং হাড় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানান্তরিত হতে শুরু করে। কখনো কখনো সেগুলো ভেঙেও যেতে পারে। এর ফলেই বাড়ে ব্যথা। ব্যাক পেইন হলে তা মৃদু থেকে গুরুতর হতে পারে। এটি নির্বিঘ্নভাবে ঘুমাতেও দেয় না অনেক সময়।

ব্যাক পেইনের ধরন

তীব্র ব্যথা

ব্যথার ধরন তীব্র হলেও অস্বস্তির সময়কাল সংক্ষিপ্ত। হতে পারে তা কয়েক দিন বা সপ্তাহখানেক। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মচকে যাওয়া বা স্ট্রেনের কারণে হয় এবং অল্পদিন পরে সমাধান হয়ে যায়।

দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা

দীর্ঘস্থায়ী অস্বস্তি ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা সঙ্গী হয় এক্ষেত্রে। এটি কয়েক মাস বা তার বেশি সময় ধরে থাকতে পারে। এটি কোনো আঘাতের কারণে ঘটে না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্য কারণ থাকে।

যেসব কারণে ব্যাক পেইন হতে পারে

ফিজিক্যাল স্ট্রেন

কটিদেশীয় অঞ্চলের (পিঠের নিচের দিকে) স্ট্রেন বা মচকে গেলে ব্যাক পেইন হতে পারে। পেশী বা লিগামেন্টের অতিরিক্ত প্রসারিত হওয়ার ফলে এমনটা ঘটে। এই ধরনের আঘাত অত্যন্ত সাধারণ এবং আপনি যদি ভারী বস্তু টানেন বা উত্তোলন করেন তাহলে ঘটতে পারে।

অস্বাভাবিক ধরনের আর্থ্রাইটিসকে বলা হয় স্পন্ডিলাইটিস। এটি পেছনে এবং ঘাড়ে দীর্ঘস্থায়ী ইনফ্লামেশন তৈরি করে। রাতের দিকে ব্যথা আরও তীব্র হতে পারে। স্পন্ডিলাইটিস রোগীদের ক্ষেত্রে মেরুদণ্ডের ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অস্টিওপোরোসিস (হাড় পাতলা হওয়া) বা সোরিয়াসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এটি ঘটতে পারে।

অস্টিওআর্থারাইটিস

অস্টিওআর্থারাইটিস, যা ডিজেনারেটিভ আর্থ্রাইটিস নামেও পরিচিত, এটি জয়েন্টের অস্বস্তি বা ব্যাক পেইনের একটি কারণ। এ ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ব্যাক পেইনে ভুগতে দেখা যায়।

সায়াটিকা

সায়াটিকা হলো এক ধরণের স্নায়ু ব্যথা যা বেশিরভাগ সময় নিতম্ব এবং পায়ের পেছন থেকে নিচের দিকে দেখা দেয়। মোটামুটি ৮০% ক্ষেত্রে সায়াটিকার ব্যথা বেড়ে যায় এবং ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিজে থেকেই চলে যায়।

ক্যান্সার

মেরুদণ্ডের টিউমার, ফুসফুস, স্তন, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এবং রক্তের ক্ষতিকারক কিছু ক্যান্সারের ফলে ব্যাক পেইন হতে পারে। ত্বকের ক্যান্সারের ফলেও ব্যাক পেইন হতে পারে।

ব্যাক পেইন উপশমের জন্য কী করা উচিত?

তীব্র ব্যাক পেইনের চিকিৎসার প্রাথমিক পদ্ধতি হিসেবে বিশ্রাম নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পেশী শক্ত হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য বিশ্রাম নেওয়া এবং ভালো ঘুমানো জরুরি। এমনকি যদি আপনার ব্যাক পেইন এতটাই খারাপ হয় যে বসলো বা দাঁড়ালেও ব্যথা করে, তবুও বিশ্রাম হতে পারে সহায়ক চিকিৎসা। সর্বোচ্চ দুইদিন বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন। টমেটো, অলিভ অয়েল এবং সবুজ শাক-সবজির মতো প্রদাহ নিরাময়কারী খাবার খান। প্রচুর পানি পান করতে এবং চিনিমুক্ত তরল পান করারও পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়