[english_date] | [bangla_day]

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কিছু ভুল ধারণা

লাইফস্টাইল ডেস্ক: অনেকে বিশ্বাস করেন, খাবারের জন্য সময় অনুসরণ না করলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং জীবনযাত্রার মান হ্রাস পেতে পারে। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কিছু ভুল ধারণা আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে। প্রতিদিন সঠিক সময়ে খাবার না খেলেই যে ওজন বেড়ে যাবে, এটি পুরোপুরি সত্যি নয়। তবে শৃঙ্খলা থাকলে তা যে কাউকে সক্রিয় এবং পরিপূর্ণ জীবন যাপন করতে সাহায্য করে। আমাদের প্রত্যেকেরই সারা দিনের বিভিন্ন সময়ে উন্নতি ও বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন। এই শক্তি আসে খাদ্য থেকে যা কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এবং প্রোটিন আকারে গ্রহণ করা হয়।

শরীর সুস্থ রাখতে পুষ্টির গুরুত্ব আমরা অনেকেই বুঝি। তবে পুষ্টিকে ঘিরে প্রচুর মিথ রয়েছে। আপনি নানাজনের কাছে নানাকিছু শুনতে পাবেন। অনেকেই অনেক ধরনের পরামর্শ দেবে। তাই কারও কাছ থেকে কিছু শুনলেই তা অন্ধের মতো পালন করতে যাবেন না। আগে ভালোভাবে জেনে নেবেন, এর সত্যতা কতটুকু? নয়তো উপকারের আশায় সেসব মেনে চললেও পরবর্তীতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কিছু ভুল ধারণা

কিছু ভুল ধারণা বা বিশ্বাস আপনার ওজন কমানোর প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে পারে। অনেক সহজ বিষয়ই জটিল হয়ে আপনার সামনে ধরা দিতে পারে। তাই আগে বোঝার চেষ্টা করুন। সেজন্য আগে জেনে নেওয়া জরুরি, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কোন ধারণাগুলো ভুল। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

“ওজন কমানোর জন্য খাবার বাদ দেওয়া উচিত”

ওজন কমানোর খাবার এড়িয়ে যাওয়ার ফলে উল্টো প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আপনি যদি কোনো একবেলার খাবার বাদ দেন তবে পরের বেলায় অতিরিক্ত খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে এবং বিপাককে ধীর করে দিতে পারে। এগুলো ওজন কমানো কঠিন করে তোলে। সারাদিনে অল্প এবং বার বার খাবারের দিকে মনোযোগ দিন। একটি স্থির বিপাক এবং শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে সারা দিন ভারসাম্যপূর্ণ, পরিমিত খাবার এবং স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসের দিকে মনোযোগ দিন।

আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যেমন অ্যাভোকাডো, বাদাম, বীজ এবং অলিভ অয়েলে পাওয়া ফ্যাট হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক সুস্থতার জন্য উপকারী। এই ফ্যাট ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ভাজা খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাট পাওয়া যায়, অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত। তাই এগুলো পরিমিত আকারে খাওয়া উচিত।

“উদ্ভিদ বা প্রাণীজ প্রোটিন একই রকম”

যদিও প্রাণীজ এবং উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন উভয়ই স্বাস্থ্যকর খাদ্যের অংশ হতে পারে, তবে পুষ্টি উপাদানের দিক থেকে উভয়েই আলাদা। প্রাণীজ প্রোটিন, যেমন মাংস, মুরগি এবং মাছ প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড সহ সম্পূর্ণ প্রোটিন সরবরাহ করে। মটরশুটি, শিম, বাদাম এবং টফুর মতো উদ্ভিদ-ভিত্তিক উৎসগুলোও যথেষ্ট প্রোটিন সরবরাহ করতে পারে। তবে প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড নিশ্চিত করতে কিছু সংমিশ্রণের প্রয়োজন হতে পারে। বৈচিত্র্যময় খাবারের তালিকা আপনাকে শরীরের প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে সাহায্য করবে।

“পরিশোধিত চিনির বদলে মধু বা গুড় খাওয়া স্বাস্থ্যকর এবং এগুলো বেশি খেলেও সমস্যা নেই”

প্রাকৃতিক এবং অল্প প্রক্রিয়াজাত শর্করা যেমন গুড় এবং মধু পরিশোধিত শর্করার তুলনায় স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পার, তবুও এগুলো শর্করাই। তাই চিনির বিকল্প হিসেবে গুড় বা মধু খেলেও তার পরিমাণের দিকে নজর রাখা উচিত। যেকোনো উপকারী খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

“স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ব্যয়বহুল”

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য ব্যাংক ভাঙার প্রয়োজন নেই। সঠিক পরিকল্পনা থাকলে অল্প খরচেই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া সম্ভব। প্রধান খাদ্য যেমন ভাত, মটরশুটি, মসুর ডাল, ওটস, ডিম, মৌসুমি ফল এবং শাকসবজি রাখুন খাবারের তালিকায়। বাইরের খাবার খাওয়া বাদ দিয়ে ঘরে তৈরি খাবার খেতে চেষ্টা করুন। কারণ বাইরের খাবার ব্যয়বহুল এবং অস্বাস্থ্যকর হওয়ার ভয় বেশি থাকে। বাড়িতে রান্না করা খাবার খেলে তা স্বাস্থ্যকর হবে এবং খরচও হবে কম।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়