[english_date] | [bangla_day]

ভালো বাবা-মা হওয়ার ৫ বৈশিষ্ট্য

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ভালো বাবা-মা হওয়ার জন্য ধারাবাহিকভাবে সন্তানের শারীরিক, মানসিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সহায়তা করতে জানতে হয়। একজন ভালো মা কিংবা বাবা হওয়ার সংক্ষিপ্ত কোনো রাস্তা নেই। এটি জীবনব্যাপী প্রচেষ্টা, চ্যালেঞ্জ, আনন্দের একটি প্রক্রিয়া। যদিও নিখুঁত অভিভাবকত্বের জন্য কোনো সার্বজনীন সূত্র নেই, তবে কিছু বৈশিষ্ট্য এবং কাজ নির্দেশ করতে পারে যে আপনি সঠিক পথে আছেন। জেনে নিন ভালো বাবা-মায়ের কোন ৫টি বৈশিষ্ট্য থাকে-

নিঃশর্ত ভালোবাসা এবং সমর্থন

ভালো মা-বাবা হওয়ার সবচেয়ে মৌলিক দিকগুলোর মধ্যে একটি হলো সন্তানকে নিঃশর্ত ভালোবাসা এবং সমর্থন দেওয়া। এর অর্থ হলো সন্তানের অর্জন বা যোগ্যতার জন্য নয়, তাকে কোনো শর্ত ছাড়াই ভালোবাসা। তাদের মানসিকভাবে ভালো রাখা, তাদের যত্ন নেওয়া, পাশে থাকাই একজন ভালো অভিভাবকের কাজ। সন্তান সফল হোক কিংবা ব্যর্থ, তার প্রতি আপনার ভালোবাসা যেন বদলে না যায়।

সন্তানের সব কথা মন দিয়ে শোনা

সব সম্পর্কের মতোই বাবা-মা ও সন্তানের সম্পর্কের মাঝেও শক্তিশালী যোগাযোগ থাকা চাই। অনেকের মধ্যেই এটি থাকে না। ভালো মা-বাবা সন্তানের কথা মন দিয়ে শোনেন এবং তাদের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং উদ্বেগকে গুরুত্ব দেয়। তারা নিজেদের হৃদয়ে সন্তানের জন্য এমন একটি জায়গা রাখেন যেখানে সন্তান নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য থাকে। সন্তানের সঙ্গে সব সময় মন খুলে কথা বলার সুফল অনেক। এতে সন্তানের মধ্যে যোগাযোগ দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়।

সীমারেখা নির্ধারণ করতে জানা

ভালো মা-বাবা হওয়ার আরেকটি লক্ষণ হলো সীমারেখা নির্ধারণ করতে জানা। সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকবে ঠিকই, পাশাপাশি মা-বাবার জন্য শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসাও থাকা চাই। এতে সন্তান জীবনে শৃঙ্খলার গুরুত্ব বুঝতে শিখবে। সন্তানকে তার বয়সের উপযোগী আচারণই শিক্ষা দিন। তাদের ভুল অভ্যাস গড়ে তুলবেন না। ভালো মা-বাবা কঠোর শাস্তির পরিবর্তে ইতিবাচক কিছু বেছে নেন। তারা তিরস্কারের বদলে পুরস্কার দিতে পছন্দ করেন।

নিজেই উদাহরণ হোন

শিশুরা মা-বাবার মুখের কথা শোনার বদলে তাদের আচরণ দেখে শিখতেই বেশি পছন্দ করে। সন্তান যা করছে, তাতে আপনাদের অনেকখানি প্রভাব রয়েছে। সন্তানদের মধ্যে মূল্যবোধ, আচরণ এবং গুণাবলী গড়ে তুলতে চাইলে তার উদাহরণ তৈরি করতে হবে আপনাকেই। উদারতা, সহানুভূতি, প্রয়োজনে কঠোর হতে জানা ইতিবাচক উদাহরণ হতে পারে। এগুলো সন্তানের দক্ষতা এবং মূল্যবোধ বিকাশে সাহায্য করে।

কোয়ালিটি টাইম

বর্তমানের ব্যস্ত দুনিয়ায় মানুষ নিজের পরিবারকে সময় দিতে ভুলে যাচ্ছে। ব্যস্ত বিশ্বে, কাজ, পরিবারের দায়িত্ব এবং অভিভাবকত্বের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তবে ভালো বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটানোর গুরুত্ব বোঝেন। কতটা সময় সন্তানের সঙ্গে কাটাচ্ছেন সেটি বড় বিষয় নয়, কতটা ভালো সময় কাটাচ্ছেন সেটিই আসল। সন্তানের জন্য আনন্দজনক কোনো কাজ করা, ভালো খাবার খাওয়া, পছন্দের কোথাও বেড়াতে যাওয়া এসব সুন্দর স্মৃতি তৈরি করতে পারে। কোয়ালিটি টাইম নিরাপত্তা এবং সংযোগের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে যা একটি শিশুর বিকাশে অমূল্য।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়