চিটাগাং মেইল: ভাস্কর্য ইস্যুতে সারাদেশে তর্ক-বিতর্ক, মৌলবাদী গোষ্ঠির আম্ফালনের মধ্যেই শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়ায় ভাঙা হয়েছে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। এরপরই পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে চট্টগ্রামে জাতির পিতার সকল ভাস্কর্য, স্থাপনা, প্রতিকৃতি ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সদর দপ্তরের নির্দেশনায় চট্টগ্রাম রেঞ্চ ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সব থানার ওসিদের এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলার পর ভাস্কর্য ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ভাস্কর্য ঘিরে চট্টগ্রামে ৮টি জায়গায় আমরা পুলিশি নজরদারীতে রেখেছি। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ সব জায়গায় কাজ করছে। চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর বড়পোল মোড়ে নির্মিত হয়েছে ‘বজ্রকণ্ঠ’ ভাস্কর্য।
সরেজমিনে সেখানে দেখা গেছে ইউনিফর্ম পরা পুলিশ সদস্যদের অবস্থান। এই ভাস্কর্যটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অর্থয়ানে ৮৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়। বেইজমেন্টসহ এটির উচ্চতা ২৬ ফুট। এছাড়া নগরের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের (অক্সিজেন-কুয়াইশ সংযোগ সড়ক) দুই প্রান্তে বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরাল রয়েছে। এই ম্যুরালগুলো ঘিরেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানার ওসিরা।
এরমধ্যে অক্সিজেন এলাকায় ৫ জন পুলিশ সহ টহল টিম আছে বলে জানিয়েছেন বায়েজিদ থানার ওসি প্রিটন সরকার। এছাড়া নগরের শিল্পকলা একাডেমি, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, মুর্যাল ও মনুমেন্ট রয়েছে।
ভাস্কর্যের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে সিএমপির উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বলেন, বঙ্গবন্ধুর সকল ভাস্কর্যে আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। এছাড়া স্থানীয় জনগনকেও আমরা বলেছি যার যার অবস্থান থেকে যেন সচেতন থাকতে। যেহেতু বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার মূর্ত প্রতীক। এইটা আমাদের সবার আবেগের বিষয়।