[english_date] | [bangla_day]

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাতে যে ৫ কাজ করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ডায়াবেটিস নিয়ে চিন্তিত মানুষের অভাব নেই। কারণ এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নীরব ঘাতক ডায়াবেটিস একবার দেখা দিলে নানাভাবে শরীরের ক্ষতি করতে থাকে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রচেষ্টারও কমতি রাখেন না অনেকে। তবে সব সময় সব প্রচেষ্টা সফল হয় না। কারণ অনেকে না জেনেই এমন কিছু কাজ করেন যা আসলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে না। তাই আপনাকে জেনে নিতে হবে সহজ ও সঠিক কিছু উপায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে রাতে কোন ৫টি কাজ করতে হবে-

সুষম খাবার খেতে হবে

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে রাতে সবার আগে নজর রাখতে হবে খাবারের দিকে। রাতের খাবার যেন সুষম হয় সেদিকে নজর দিন। এর অর্থ হলো খাবারের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট থাকতে হবে। এই তিনটির পরিমাণ যেন সমান সমান থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখুন। এতে রাতে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।

বেশি রাতে খাবার খাবেন না

রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু এটি মোটেই ভালো কোনো অভ্যাস নয়। আপনারও যদি এই অভ্যাস থাকে তবে তা দ্রুত ত্যাগ করুন। কারণ এই অভ্যাস আপনার ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত রাতে দেরি করে খাবার খান তবে ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই রাত আটটার মধ্যে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।

রাতের খাবারের পর কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। দিন ও রাত মিলিয়ে মোট ২-৩ লিটার পানি পান করবেন। এতে ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে সহজেই। যে কারণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে। তাই এই অভ্যাস বাদ দেওয়া চলবে না। খেয়াল রাখবেন যেন খাওয়ার পরপরই পানি পান করা না হয়। কারণ তাতে হজমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

সীমিত খাবার খান

রাতে খুব বেশি খাবার খাবেন না। এসময় মেপে খাবার খাওয়াই ভালো। কারণ রাতে অতিরিক্ত খাবার খেলে ঘুমের মধ্যে ব্লাড সুগারের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই রাতের খাবার যতটা সম্ভব সীমিত করার চেষ্টা করুন। সবচেয়ে ভালো হয় এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারলে।

অল্প হাঁটাচলা করুন

রাতের খাবার খাওয়ার পরপরই বিছানায় চলে যাবেন না। কারণ এতে হজমে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করুন। এতে খাবার হজম সহজ হবে। যার ফলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে আর আপনিও দূরে থাকতে পারবেন ডায়াবেটিস থেকে।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়