[english_date] | [bangla_day]

সকালে যে ৫ পানীয় ওজন কমাতে সাহায্য করে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: কোনো খাবার কিংবা পানীয় একাই ওজন কমাতে পারে না। ওজন কমানো একটি জটিল প্রক্রিয়া যার মধ্যে একটি সুষম খাদ্য, নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারার সমন্বয় জড়িত। কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় আছে যেগুলো সকালে পান করলে তা আপনাকে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তবে সেসব পানীয় নিয়মিত পান করতে পারেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-

উষ্ণ গরম লেবুপানি

এক গ্লাস উষ্ণ পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে তা আপনার বিপাকক্ষমতা বাড়ায় এবং হজমে সহায়তা করে। উষ্ণ লেবুপানি দিয়ে দিন শুরু করলে তা রাতের ঘুমের পরে আপনার শরীরকে রিহাইড্রেট করতে সাহায্য করে। শুধু পানির বদলে এটি বেশি উপকারী হতে পারে। লেবু ভিটামিন সি এর একটি চমৎকার উৎস, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবেও কাজ করে, ফ্রি র‌্যাডিকেল দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে কোষকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।সকালে এই ভেষজ পানীয় পান করলে তা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

গ্রিন টি

গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ যা ফ্রি র‌্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে, সম্ভাব্য দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়। এর ক্যাটেচিন, বিশেষ করে EGCG বিপাক বৃদ্ধি করে এবং ওজন ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করে। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং আলঝাইমার এবং পারকিনসন রোগের ঝুঁকি কমায়। সেইসঙ্গে গ্রিন টি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাস্থ্যকর ত্বক ধরে রাখতে সাহায্য করে।

ব্ল্যাক কফি

ব্ল্যাক কফি একটি কম ক্যালোরিযুক্ত পানীয় যা বিভিন্ন উপকারিতা দেয়। কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। নিয়মিত কফি খেলে কিছু রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে, যেমন টাইপ ২ ডায়াবেটিস, পারকিনসন এবং কিছু ধরনের ক্যান্সার। এটি লিভারের স্বাস্থ্যও ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং বিপাক বৃদ্ধি ও চর্বি ঝরিয়ে ওজন ব্যবস্থাপনায় অবদান রাখে। তবে অতিরিক্ত কফি খেলে নেতিবাচক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে, তাই খেতে হবে পরিমিত।

দারুচিনি চা

দারুচিনি চা একটি সুগন্ধযুক্ত পানীয় যা বিভিন্নভাবে শরীরের উপকার করে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। দারুচিনি চা খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, এটি ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন প্রতিরোধী ব্যক্তিদের জন্য উপকারী। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং রক্তচাপ কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। দারুচিনি চায়ের উষ্ণতা বৃদ্ধির বৈশিষ্ট্য হজমে সহায়তা করে এবং হজমের অস্বস্তি থেকে আরাম দিতে পারে।

অ্যালোভেরার রস

অ্যালোভেরার রস বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য পরিচিত। এটি অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমসহ হজমের অস্বস্তি প্রশমিত করে। অ্যালোভেরা ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, প্রদাহ কমায় এবং ইমিউন সিস্টেমকে সমর্থন করে। অ্যালোভেরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। শুধু তাই নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও কাজ করে। তবে এটি পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত, কারণ অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে হজমের সমস্যা হতে পারে।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়