২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | শুক্রবার
১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

ভূমি দস্যূদের ভয়াল গ্রাসে দিশেহারা সাধারণ মানুষ!৷ —মুহাম্মদ রুশনী মোবারক (সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মী)

এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) নামের এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের মানুষের ভূমি অধিকার এবং সার্বিক ভূমি ব্যবস্থাপনা নিয়ে তাদের করা এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

কীভাবে বাংলাদেশে দস্যূতা করে ভূমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে- এই রিপোর্টে মূলত সেদিকে নজর দেয়া হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলছেন “এর সাথে যারা যুক্ত তারা রাজনৈতিক ভাবে সমাজের উচ্চ শ্রেনীর অনেক প্রভাবশালী মানুষ, যাদের অনেক সম্পদ আছে, অনেক ভূমি আছে”

“ভূমি দখল বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় হয়। যেমন সরকারের নিজস্ব সম্পদ যেটা, যেটাকে আমরা খাস সম্পদ বলি, চরের যে খাস জমি সেটা সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে এই জমি যারা দখল করে তারা তাদের সামাজিক, রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি ব্যবহার করে”।
পাশ্ববর্তী মানুষের সাথে জুলুম অত্যাচার করে ঘেষা ঘেষি করে ভূমি দস্যূতা করা এখন একটি শ্রেনির পেশা হয়ে দাড়িয়েছে!

“তার সাথে সরকারের যেসব এজেন্সি আছে বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য যারা থাকে পুলিশ এবং অন্যান্য প্রশাসনের একাংশের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সমর্থন নিয়েই তারা এই কাজ করে” বলে তিনি মন্তব্য করে।

উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে কি ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে?
সম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে উন্নয়ন প্রকল্পের নামে বেসরকারি এবং সরকারি কাজ হচ্ছে, এই উন্নয়নের নামেও অনেক জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। মি. হুদা বলছিলেন

“সরকারিভাবে যদি অধিগ্রহণ করা হয় সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের বিধান আছে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও যথেষ্ট অনিয়মের অভিযোগ আমাদের কাছ আছে”।

“আর অধিগ্রহণ ছাড়াও বেদখল হয়। যারা বড় বড় মেগা প্রকল্প করে তারা যে পরিমাণ অধিগ্রহণ করে তার চেয়ে অনেক বেশি জমি তারা দখল করে। যেটাকে আমরা বলি অবৈধভাবে বা বেআইনিভাবে দখল।

এবং যারা এটা করে তাদের প্রভাবের কারণে এর কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না।

যারা বঞ্চিত হচ্ছে:
যারা নীরহ, দরিদ্র এবং ভূমিহীন তারা বঞ্চিত হচ্ছেন এর ফলে।

বিশেষ করে যারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষ যারা কৃষিনির্ভর তাদের জমি বেহাত হয়ে যাচ্ছে।

খাস জমির সমস্যা কতটা সমাধান হয়েছে:
৮০দশক এবং ৯০ এর দশকের প্রথম দিকে খাস জমির দিকে সরকারের কিছুটা নজর ছিল।

কিন্তু ৯০ এর দশকের পর থেকে আস্তে আস্তে এই খাস জমি সরকারের অগ্রাধিকারের বাইরে চলে গেছে।

বিশেষ করে কৃষি খাস জমি সরকারের একটা নীতিমালা আছে। যারা নদী-ভাঙ্গন এলাকার মানুষ বা ভূমিহীন এবং কৃষির উপর নির্ভর করে চলতে হয় তাদের মধ্যে এই জমি বণ্টন করার নিয়ম রয়েছে।

কিন্তু সেই নিয়মটা এখন সব জায়গায় মানা হচ্ছে না বলছিলেন তিনি।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়