চিটাগাং মেইল ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধের প্রথম দিন আজ (বুধবার)। এদিন চট্টগ্রামের রাস্তাঘাট ফাঁকা দেখা গেছে। নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করতে দেখা গেছে। সড়কে রিকশা চলাচল করতে দেখা গেলেও সংখ্যায় ছিল কম। এছাড়া গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) চট্টগ্রামের কাজির দেউড়ী, ওয়াসা, এনায়েত বাজার, নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এসব এলাকার সড়কে শুধু পণ্যবাহী কিছু যানবাহন চলছে। নেই কোনো গণপরিবহন। রাস্তায় মানুষজনও একেবারে সীমিত। জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষকে রিকশায় চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়া এসব এলাকায় দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।
বেলা ১২টার দিকে নিউমার্কেট মোড়ে দেখা যায়, পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেলগুলোকে তল্লাশি করতে দেখা গেছে। যাদের মুভমেন্ট পাস আছে তাদর ছেড়ে দিতে দেখা গেছে। আর যাদের মুভমেন্ট পাস নেই বা বিশেষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হয়েছেন তাদের নামে দেওয়া হচ্ছে মামলা।
আব্দুল হাই নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, দোকানের তালা ঠিক আছে কি না তা দেখতে এসেছিলাম।আমার কাছে মুভমেন্ট পাস ছিল না। এ কারণে ট্রাফিক পুলিশ মামলা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম ট্রাফিক পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আলী হোসেন বলেন, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। মুভমেন্ট পাস নিয়ে যারা বের হয়েছে তাদের যেতে দেওয়া হয়েছ। এছাড়া যারা জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছেন তাদের যেতে দেওয়া হয়েছে। আর যাদের বের হওয়ার কারণ যুক্তিসঙ্গত মনে হয়নি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। অনেককেই আবার ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
মোহাম্মদ কামাল নামের এক ফলের আড়তদার জানান, গাড়ি না পেয়ে টাইগার পাস থেকে হেঁটে ফিরিঙ্গ বাজার যাচ্ছেন তিনি। তার আড়তে অনেক তরমুজ জমা আছে, তা বিক্রি করতে না পারলে লসে পড়বেন। তাই বাধ্য হয়ে আড়তের দিকে যাচ্ছেন।
মানিক মিয়া নামের এক রিকশাচালক বলেন, সড়কে আজ মানুষ কম। তাই ভাড়াও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কম।
এদিকে সরকারের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসনের ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজ দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অভিযান পরিচালনা করবেন।